ভিভোর তৈরি ব্লু অয়েস অপারেটিং সিস্টেম কতটা পাওয়ারফুল?

আপনি যদি একজন স্মার্টফোন লাভার হন তাহলে অবশ্যই ভিভোর ডিজাইন আপনাকে খুবই টানবে ওদের অবশ্যই স্মার্টফোন আর ডিজাইন গুলা অনেক সুন্দর। খুব কম সময়ের মধ্যেই ভিভো বাজার কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে।  আমার দেখা সবচাইতে কম সময়ের মধ্যে ভিভো মার্কেট দখল করেছে যা অন্যান্য কোম্পানি যেমন samsung, appl,নকিয়া তারপরে সিম্ফনি ওরা কিন্তু কেউ এভাবে মার্কেট পায়নি। বর্তমানে ওদের মার্কেট শেয়ারও ভালো।  আর কিছুদিন পরেই দেখবেন স্যামসাং কেউ টেক্কা দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এতেও ভিভো থেমে থাকার পাত্র নয়। তাই সে বাজারে নিয়ে এসেছে তাদের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম BlueOS। এই BlueOS। কতটা পাওয়ার ফুল এবং কতটা Secured চলুন জেনে নেয়া যাক। 

দুনিয়াকে আরও বেশি ডিজিটালাইজ করতে ভিভো নিয়ে এসেছে তাদের একদম নতুন একটি অপারটিং সিস্টেম BlueOS।  এটি স্মার্ট ওয়্যারেবল ও স্মার্ট হোম ডিভাইসের জন্য প্রযোজ্য।  স্মার্ট ফোনে চালানোর জন্য এটি এখনো কোনো ঘোষণাপত্র চীনা কোম্পানি ভিভো থেকে আসেনি।  স্পিড, সিকিউরিটির ক্ষেত্রে সর্বাধিক পরিচিত Rust প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর উপর ভিত্তি করে এই BlueOS অপারেটিং সিস্টেমটি তৈরি করা হয়েছে। 

ডিজাইন করা হয়েছে এআই ক্যাপাবিলিটি এফিসিয়েন্ট পারফরম্যান্স এর কথা মাথায় রেখে ও হ্যাঁ সাথে তো প্রাইভেসি আছেই।  ভিভো থেকে বলা হচ্ছে যে এটি অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম থেকে সম্পূর্ণ আলাদা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও আরো অনেক বেশি সেইফ।

এফিসিয়েন্ট হওয়ার কারণে এই অপারেটিং সিস্টেমটি কম পাওয়ারফুল হার্ডওয়্যারেও ভালোমতো রান করবে।

তাছাড়াও থাকছে ডাটা অপটিমাইজেশন, ট্রান্সপারেন্সি কন্ট্রো্‌ এফিসিয়েন্ট পারফরম্যান্স, এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ইত্যাদি প্রাইভেসি ফিচার। ভিভো তাদের ইউজারদের নিয়ে আরো বেশি চিন্তিত আরও বেশি সচেষ্ট।

BlueOS এর সাথে শক্তিশালী ফিচার হিসাবে থাকছে পার্সোনালাইজড রিকমেন্ডেশন, প্রো একটিভ এসিসটেন্স ইত্যাদি। এই ফিচার ব্যবহারকারীর অভ্যাসকে পর্যালোচনা করে রেকমেন্ডেশন ও অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রদান করতে পারবে। এই অপারেটিং সিস্টেম স্মার্টহোম কম পাওয়ারফুল হার্ডওয়ার বিশিষ্ট ডিভাইসগুলোতেও অনেক ভালোমতো রান করবে এবং বেশ সুন্দর মত চলবে এর ফলে ব্যাটারি লাইফ উন্নতির পাশাপাশি অনেক রেস্পন্সিভ পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে।

ভিভো তাদের এই নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম ১৩ নভেম্বর মুক্তি দিচ্ছে। এতে ভিভো স্মার্টওয়াচ-৩ এ ব্যবহার করা হবে আর বাকি অন্যান্য যে ডিভাইস গুলো রয়েছে যেমনঃ মোবাইল, কম্পিউটার এই ডিভাইসগুলোতে এই অপারেটিং সিস্টেম আসবে কিনা সে সম্পর্কে ভিভো থেকে এখনো কোনো কিছু জানা যায়নি তবে শীঘ্রই আমরা সেটা জানতে পারবো।

এখনো বলা মুশকিল ভিভোর নতুন অপারেটিং সিস্টেম কতটা সফল হবে তবে এও বলা মুশকিল কতটা বিফল হবে কেননা ভিভোর নতুন অপারেটিং সিস্টেম স্মার্টহোম মার্কেট কে রীতিমত কাপিয়ে দিতে আসছে।BlueOS তৈরি করা হয়েছে প্রাইভেসি, এফিসিয়েন্ট পারফরমেন্স এর কথা মাথায় রেখে যা ইউজারদেরর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 

তবে ওয়্যারওএস ওয়াচওএস এর মত প্রতিষ্ঠিত অপারেটিং সিস্টেম মার্কেটে একটি নতুন প্রতিযোগী হতে যাচ্ছে। এছাড়া শাওমির হাইপারওএস এর মত নতুন অপারেটিং সিস্টেমগুলোর সাথেও প্রতিযোগীতায় ঠিকে থাকতে হবে নতুন এই অপারেটিং সিস্টেমকে।

আর যদি ভিভোর এই অপারেটিং সিস্টেমটি মার্কেট কাঁপিয়ে দিতে পারে বা এর দিকে যেতে পারে তাহলে শাওমির হাইপারওএস স্যামসাংয়ের ONEUI সবকিছুকেই অবলিলা য় খেয়ে দিবে। কেনোনা তখন লুক্স, ক্যামেরা এর পাশাপাশি যুক্ত হবে তাদের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *