অনলাইনে কোন ধরনের কাজের চাহিদা বেশি?

অনলাইনে চাহিদা বেশি কোজ কোনটি? কোন কাজ আপার সাফল্য এনে দিবে?

বর্তমানে সময়ে তরুন যুবসমাজ এমনকি চাকুরিজীবিদের মাঝে অনলাইনে কাজ করার আগ্রহ দিন দিন বেড়ে চলেছে। কারণ, তারা সবাই মনে করেন এই প্লাটফর্মে সহজে ও সল্প সময়ে অধিক পরিমাণ আয় করা সম্ভব। ধারণাটি যদিও মিথ্যে নয় তবে অনলাইনে কাজের জন্য আপনাকে অবশ্যই কোন একটি বিশেষ বিষয়ের উপর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হয়। তা না হলে আপনাকে আপনার লক্ষ্যে পৌছানোটা অনেকটা শেগুড়ে বালি হতে পারে। যার ধরুণ অনেকে শুরুর দিকেই ছিটকে পড়েন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার থেকে।

আপনি ফ্রিল্যান্সিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই জেনে নিতে হবে অনলাইনে কোন কাজ এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি?

আর তাই আমাদের আজকের বগ্লে এমন কিছু অনলাইনে কাজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো, যা বর্তমান সময়ের পাশাপাশি সামনের কয়েক দশক পর্যন্ত ভালো ডিমান্ড সম্পন্ন থাকবে। যারা অনলাইন এ কাজ করতে আগ্রহী তাদের ভিতর একটি সচরাচর প্রশ্ন হচ্ছে, অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি বা কোন কাজ আমাদের করলে সহজ এবং ইনকাম সহজে করা যাবে ইত্যাদি?

অনলাইনে কাজের চাহিদা:
বর্তমান সময়ের চাহিদা অনুযায়ী আমরা দক্ষতা এবং আয়ের ভিত্তিতে ১০ ‍টি কাজের ক্যাটাগরি বুঝানোর চেষ্টা করেছি। যা হলোঃ

• গ্রাফিক ডিজাইন
• ওয়েব ডিজাইন এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
• ডিজিটাল মার্কেটিং
• ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিট্যান্ট (VIRTUAL ASSISTANTS)
• আর্টিকেল রাইটিং
• এসইও এক্সপার্ট
• সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট
• অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

 

গ্রাফিক ডিজাইন

কম্পিউটার বা ল্যাপটপে সফটওয়্যারের মাধ্যমে চিন্তা ও বিভিন্ন তথ্যের সাথে মিল রেখে দৃশ্য তৈরি বা আঁকার প্রক্রিয়াকে গ্রাফিক ডিজাইন বলে। বর্তমানে, অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এর চাহিদা দিনকে দিন বাড়ছে সাথে গ্রাফিক ডিজাইনারদের আয়ও বাড়ছে। উদাহরণস্বরূপ ফ্লায়ার, লোগো, বিজ্ঞাপন, পৃষ্ঠা-লেআউট, ব্রোশিওর, ম্যাগাজিন ইত্যাদি। এসব এর জন্যে ডিজাইনাররা সাধারণত ডিজাইনের বিভিন্ন সফটওয়্যার যেমন ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ইনডিজাইন, পাওয়ার পয়েন্ট এবং অন্যান্য সফটওয়্যার ব্যবহার করে তৈরি করে। গ্রাফিক ডিজাইন সফটওয়্যারের সঠিক ব্যবহার জানা থাকলে খুব সুন্দর ভাবে গ্রাফিক ডিজাইনের মাধ্যমে আপনার ভাবনা প্রকাশ করা সম্ভব।

 

গ্রাফিক ডিজাইন কেন শিখবো?

অনেকেই প্রশ্ন করেন গ্রাফিক ডিজাইন কেন শিখব অনেকেইতো গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে কিছুই করতে পারছে না। আসলে এর পিছনের রহস্য সে নিজে। কারণ নিজেকে পূর্ণ ডিজাইনার হিসাবে তুলে যে গুণাবলীর দরকার হয়তো সে সেটা সঠিকভাবে অর্জন করতে পারে নি তাই ফ্রিলান্স মার্কেটে তিনি লাভবান হয়নি, ‍কিন্তু বাস্তবতা হলো বাজারে গ্রাফিক ডিজাইনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা রয়েছে এবং ভবিষ্যতে সেটা আরো বাড়বে।

আমরা জানি বর্তমান সময়ে সব ধরনের কাজেই গ্রাফিক ডিজাইনের প্রয়োজন হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক, অর্থনীতির সকল কাজের প্রচারণা বা বিভিন্ন ধরনের ব্যানার এবং গ্রাফিক ডিজাইন অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে। ডিজাইনের প্রতি আপনার মন ভালো থাকলে গ্রাফিক ডিজাইনে মনোযোগ দিতে পারেন। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এর সার্ভে রির্পোট এ প্রকাশিত রেজাল্ট বলছে যে, গ্রাফিক ডিজাইন এর বর্তমান অবস্থান বিশ্বেরে দুই নম্বরে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক ডিজাইনারের জন্য ক্রমাগত চাকরির পোস্টিং রয়েছে।

 

ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

 

আমরা সাধারণত ডিজাইন বলতে একটি জিনিসের নকশাকেই বুঝি। কিন্তু ওয়েব ডিজাইন বলতে মুলত একটি ওয়েবসাইট এর তথ্যগুলো সেখানে কীভাবে প্রদর্শন করবে এবং তাদের আকার অর্থাৎ সাইজসহ যাবতীয় বিষয় বোঝানো হয়। ওয়েবসাইট লে আউট কেমন হবে, কোথায় মেনু থাকবে, সাইডবার থাকবে কি না, বিভিন্ন ইমেজ কীভাবে প্রদর্শন করা হবে; এই সবকিছুর একটি টেমপ্লেট বানানোই মূলত ওয়েব ডিজাইন।

চাহিদা বেশি নাকি কম?
অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ ব্যপারে বলতে গেলে প্রথমেই আছে ওয়েব ডিজাইন। কেননা বর্তমান দিনে ওয়েবসাইটের পরিমান ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর ওয়েবসাইট বেড়ে যাবার প্রধান কারণ হলো, এখন প্রত্যেক ব্যবসায়ীরাই তার নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের জন্য ওয়েবসাইটের উপর নির্ভর করেন। কারণ একটি ওয়েবসাইট দ্বারা সহজেই কাস্টামারকে আর সার্ভিস বা প্রোডাক্ট কি এবং প্রোডাক্টের গুণগত মান তুলে ধরতে পারে যার দরুণ ব্যবসায়ীরা একটি ভালো মানের ওয়েবসাইট বানাতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
তাছাড়া ইনটারনেট বাণিজ্যের এই যুগে ওয়েবসাইট ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠানকে কল্পনাই করা যায় না। আর তাই সেই সব ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য প্রয়োজন হয় প্রচুর পরিমাণে ওয়েব ডিজাইনার। তাই যেমন চাহিদা বেশি, এই পেশায় আয়ের পরিমাণও অনেক ভালো।

 

ওয়েব ডিজাইন কীভাবে শিখবেন?

শুরুতেই জানিয়ে রাখি , ওয়েব ডিজাইন আসলে তাদের জন্য, যারা ক্রিয়েটিভ কাজ করতে ভালোবাসেন এবং এটাও বলে রাখা উচিত ওয়েব ডিজাইন শিখতে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে ডেডিকেটেড হতে হবে। কেননা ওয়েব ডিজাইন করতে হলে আপনাকে জানতে হবে কিছু প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গগুয়েজ, স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গগুয়েজ এবং মার্কাপ ল্যাঙ্গগুয়েজ। যেমনঃ HTML, CSS, Javascript ইত্যাদি। আর প্রোগ্রামিং এ নেশা না থাকলে এটি শেখা রীতিমতো দুষ্কর। তাই বলব ওয়েব ডিজাইন শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা কাজের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন। ওয়েব ডিজাইন শিখার জন্য আপনি ভালো মানের প্রতিষ্ঠান থেকে শিখে নেওয়া ভাল কারণ ভিডিও দ্বারা শেখা আর নিজে ক্লাসে উপস্থিত হয়ে শেখার মধ্যে একটু তফাৎ থেকেই যায়। যদিও আজকাল বিভিন্ন ইশিক্ষণ ওয়েবসাইট আছে যেখান থেকে নির্ভরযোগ্য শিক্ষকের মাধ্যমে ওয়েব ডিজাইন শেখা সম্ভব পাশাপাশি আর্ন্তজাতিক মানের সার্টিফিকেটও অর্জন করা যায় যা ভবিষ্যতে দেশে কিংবা দেশের বাহিরের চাকুরি জীবনের জন্য কাজে আসে।

ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট এর ই-শিক্ষণ সাইটসমূহ:
১. Udemy
২. Pluralsight
৩. Coursera
৪. Ostad.app
৫. Robi 10 Minutes School
৬. Harvard Online Course ইত্যাদিসহ আরো অনেক।

 

ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট কি?

একটি ওয়েবসাইট ডিজাইনের পরে, ওয়েবসাইটটিকে বিকাশের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়াশীল বা গতিশীল করানোর প্রক্রিয়াকেই বলে ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট । একজন ব্যবহারী কোথায় কিভাবে যাবে তার প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করত, এডমিন ও মেম্বাররা কিভাবে মুভ করবে বা কোন উপায়ে কি কি কাজগুলো করবে এসব কাজ একজন ওয়েব ডেভেলপার দ্বারা সম্পন্ন করা হয়। একজন ওয়েব ডেভেলপার সহজেই ওয়েব সাইটের বিভিন্ন বাগ খুঁজে বের করতে পারেন এবং ওয়েব ডেভেলাপারই তা ঠিক করেন এবং আপনার ওয়েবসাইটকে আরও সুন্দর দেখাতে এবং বিভিন্ন নতুন ফাংশন যোগ করার জন্য ওয়েব ডেভেলপারদের অনেক বেশি প্রয়োজন। আর যারা ওয়েব-ডেভেলপমেন্টের কাজ করে তাদের বলা হয় ব্যাক-এন্ড ডেভেলপার।

ডিজিটাল মার্কেটিং:
আমাদের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আমরা রেখেছি ডিজিটাল মার্কেটং কে। শুরুতেই জেনে রাখা দরকার ডিজিটাল মার্কেটিং কী? ডিজিটাল বলতে অনলাইন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে পণ্যের প্রচার বা প্রসার ঘটানো কাজকেই বুঝায়। অনলাইনে কাজ এর মধ্যে এটা অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। যা মূলত ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট, ইউটিউব এসবের মাধ্যমেই মার্কেটিং এর যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা?

বর্তমান যুগে মোটামুটি সব কিছুই অনলাইন এর অধীনে চলে এসেছে এবং আসছে। সেটা বিজনেস হোক বা পণ্য। আর যেহেতু বিজনেস ডিজিটাল মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে, তাই এর মার্কেটিং ও এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রচার করা হচ্ছে। ঠিক একই কারণে দিন যতই এগুচ্ছে অনলাইন মার্কেটিং এর চাহিদাও বিপুল পরিমানে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এ একজন হিসাবে ডিজিটাল মার্কেটিং পছন্দ করে থাকেন, তাহলে আপনাকে স্বাগতম । কেননা আগামী কয়েক দশক পর্যন্ত এই সেক্টরে কাজের চাহিদা ফুরাবে না। এই সেক্টরে কাজ শিখতেও যেমন সহজ হয় তেমন চাহিদাও আছে এবং ভবিষ্যতে এর চাহিদা কমতেও দেখা যাবে না।

ডিজিটাল মার্কেটিং এ কাজ করতে হলে আপনাকে ওয়েব ডিজাইন এর মত এত ক্রিয়েটিভ না হলেও চলবে। তবে এই সেক্টরে আপনি যত বেশি অভিজ্ঞ হবেন, আপনার দক্ষতা বাড়ার সাথে সাথে ইনকামের পরিমাণই বাড়বে।

 

ভার্চ্যুয়াল সহকারী বা VIRTUAL ASSISTANTS:

বর্তমানে অনলাইন অফিসগুলোর সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছ, বিশেষ করে করোনার পর থেকে ওয়ার্ক ফ্রম হোম প্রথা চালু হওয়ার পর থেকেই Virtual Assistants এর চাহিদা বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তাই আজকাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ভার্চুয়াল সহকারীদের চাহিদাও দিন দিন তুমুল হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট কী?

ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট কাকে বলে তা যদি আপনার অজানা হয়ে থাকেন, তাহলে বলছি বাস্তবে বিভিন্ন কোম্পনিতে এসিস্ট্যান্ট দের যেরকম কাজ থাকে ভার্চুয়াল এসিস্ট্যানট দেরও ঠিক একই রকম কাজ করতে হয়। তবে পার্থক্য হলো এখানে আপনি সকল কাজ ঘরে বসেই কম্পিউটারে মাধ্যমে করতে পারেন। আপনাকে কোন রকম, অফিসে যাবার ঝামেলা পোহাতে হয় না। গ্রাহক সেবা, ব্লগ মেইনটেনেন্স, কোম্পানির যেকোন কাজে সাহায্য সহযোগীতা করা ইত্যাদির মত সাধারণ কিছু কাজ একজন ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্টকে করে দিতে হয়।

 

ভার্চ্যুয়াল এসিস্ট্যান্ট হতে হলে আপনাকে যা যা জানতে হবে?

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট ব্যাপকতা এখনো এতোটাও বৃদ্ধি পায়নি যতোটা নাহ বাহিরের দেশে, তাই ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হিসাবে ক্যারিয়ার গড়তে হলে প্রথমেই আপনাকে ইংরেজীতে খুব ভালো দক্ষ হতে হবে। কারণ ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজের প্রায় সিংহভাগই ইংরেজিতে করতে হয়। তাছাড়া একজন ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হলে আপনাকে অনেক বিদেশি মানুষের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে, তাই ইংরেজীতে দক্ষ হওয়া অতি জরুরী।
দ্বিতীয়, যে জিনিসটি আপনার জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তা হলো কম্পিউটার ব্যবহারে এক্সপার্ট হওয়া। এসব কমন স্কিল ছাড়াও কোম্পনি ভেদে আপনাকে বিশেষ কোন ক্ষেত্রে এক্সপার্টও হওয়া লাগতে পারে। তাই বলাই যাই, যত বেশি দক্ষতা আর স্কিল থাকবে এই সেক্টরে ততই ভালো করা যাবে।

 

আর্টিকেল রাইটিং

প্রযুক্তির এই যুগে, অনেক ধরনের লোকেরা ব্লগিং বা ওয়েবসাইটের জন্য ক্রমাগত পোস্ট লেখকদের সন্ধান করছে। আপনি যদি ভালো আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে অনলাইনে আয় করতে পারবেন। আপনি যদি ইংরেজিতে ভালো লিখতে পারেন তাহলে ইংরেজিতে বিভিন্ন কনটেন্ট লিখে আয় করতে পারবেন। আবার বাংলায় লিখতে পারলে বাংলায় লিখে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ব্লগের মালিক থেকে আয় করতে পারবেন।

ভালো মানের আর্টিকেল রাইটার হতে পারলে ফ্রিলান্স থেকেই আপনি অধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন তবে আর্টিকেল রাইটিংয়ের সাথে এসইও জানা থাকলে ভালো কেননা আপনার লিখার কিওয়ার্ডয়ের উপর নির্ভর করবে একটি ওয়েবসাইটের র‌্যাংকিং।

 

এসইও এক্সপার্ট

আপনি অনলাইনে যাই করুন না কেন তা আপনি একটি অনলাইন ব্যবসা চালান বা একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের নিয়ে কাজ করুন, যদি আপনার এসইও সম্পর্কে জ্ঞান না থাকে, তাহলে সফলতার মুখ দেখা এতোটাও সহজলভ্য হবে না। একজন ওয়েবসাইটের মালিককে তার সাইটটি সবার সামনে পাওয়ার জন্য এসইও বিকল্প নেই। তাই যদি নিজেকে একজন বিশেষজ্ঞ তৈরি হিসাবে করতে পারেন তবে অনলাইনে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন কারণ প্রতিটি কাজের জন্য এসইও প্রয়োজন।

এসইও এর পূর্ণরূপ হলো ‘সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন’। সার্চ ইঞ্জিন বলতে আমরা বুঝি তিনটি প্রধান সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবসাইট গুগল, ইয়াহু এবং বিং। এছাড়াও অনেক সার্চ ইঞ্জিন আছে কিন্তু এই তিনটি সার্চ ইঞ্জিন তাদের অধিকাংশের চেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। আর যেহেতু এই কয়েকটি সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে রীতিমতো লড়াই করতে হয় নিজের ওয়েবসাইট নিয়ে সেখানেই কাজ আসে ডিজিটাল মার্কেটারদের। তারা অন্যান্য ব্লগ/সাইটের সাথে তাদের ব্লগ/ব্যবসাকে অপ্টিমাইজ করে বিভিন্ন উপায়ে তাদের ওয়েবসাইটে গুগল সার্চকে টার্গেট করে। যেন তাদের ওয়েবসাইট/ব্লগ বা ব্যবসার বিষয়বস্তু সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পৃষ্ঠায় বা প্রথম সারিতে থাকে যেন ব্লগ সাইটে বেশি ভিজিটর পাওয়া। সহজ কথায়, আপনার ওয়েবসাইট বা ব্যবসাকে গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পৃষ্ঠায় টার্গেট করে নিয়ে আসাকে SEO অপটিমাইজেশন বা SEO বলে।

 

সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট

আজকাল সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট অনলাইন কাজের একটি বড় অংশ হয়ে উঠেছে এবং সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্টের বেশ চাহিদা আছে, কারণ সরকারি/বেসরকারি প্রায় সব ধরনের কাজের জন্য সফটওয়্যার ডেভেলপারদের প্রয়োজন হয়। যা বর্তমানে অনলাইনে বেশি চাহিদায় থাকা চাকরিগুলির মধ্যে একটি।

আমরা আজকাল যে মোবাইল এ্যাপ বা কম্পিউটারে কাজের জন্য যা ব্যবহার করি সেটাই সফটওয়ার। সফটওয়ার খালি চোখে দেখায় যায় না মানে কিভাবে তা কাজ করে সেটা দেখা যায়না।
আমরাতো বলতে গেলে শুধু ক্লিক দিচ্ছি আর সাথে সাথেই সেটা কম্পিউটার বা মোবাইলের স্ক্রিনে দেখতে পাই। এই অদৃশ্য কাজের গতিকেই সফটওয়্যার বলে। আর যারা তা তৈরি করে তাদের বলা হয় সফটওয়্যার ডেভেলপার।
একজন ভালো মানের সফটওয়্যার ডেভেলপার হতে পারা মানে আপনার কাজের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত একটি কমিশন ভিত্তিক অনলাইন আয় মানে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট থেকে একটি নির্দিষ্ট পণ্য নির্বাচন করতে হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং লিঙ্ক পেতে আপনাকে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং সেই ওয়েবসাইটের মালিক আপনাকে একটি লিঙ্ক প্রদান করবেন। যদি কোন গ্রাহক আপনার লিঙ্ক থেকে কিছু কেনেন তাহলে ক্রয় কমিশন আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে এবং এভাবে আপনি যত বেশি বিক্রি করবেন তত বেশি আয় করতে পারবেন।

যত বেশি মার্কেটিং করতে পারবেন আপনি যত বেশি পণ্য বিক্রি করতে পারবেন, তত বেশি আয় করতে পারবেন। তাছাড়াও আজকাল ওয়েবসাইট বা ব্লগের মাধ্যমে করা যেতে পারে এমনকি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে এটি করা যায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *